মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ‘কটাক্ষ’ ফেসবুকে পোষ্ট থানায় মামলা যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে জুন ২০২৪ ০৪:২৯ অপরাহ্ন
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ‘কটাক্ষ’ ফেসবুকে পোষ্ট থানায় মামলা যুবক গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও কুরবানির মাংস নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম (৪৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী গ্রেফতারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান পুলিশ। 


বুধবার (১৯ জুন) থানায় এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ আসামিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম হাকিমপুর হিলি পৌর শহরের ধরন্দা এলাকার সিপি রোডের মোঃ মোখলেছুর রহমানের ছেলে।এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম তার নিজের ফেসবুক আইডিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন। 


এছাড়াও জাহাঙ্গীর আলম ওই দিন তার ফেসবুকে আইডিতে লিখেন, কোরবানির মাংসের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হোক। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।


এই ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ওই যুবকের এমন পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানান।পরে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে হাকিমপুর থানায় মামলা করেন সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী।


জানতে চাইলে এ বিষয়ে হাকিমপুর ওসি মোঃ দুলাল হোসেন পিপিএম বলেন, সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও কুরবানির মাংস নিয়ে কটাক্ষ করে জাহাঙ্গীর আলম তার নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। পরে তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃত আসামিকে আজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 


উল্লেখঃ জাহাঙ্গীর আলম একসময় হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডে চাকরি করতেন। এরপর তিনি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় ‘বাংলা হোপ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাতেও কর্মরত ছিলেন।