লালপুরে সাথি ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আশিকুর রহমান টুটুল, জেলা প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত: সোমবার ১১ই এপ্রিল ২০২২ ১১:০৩ অপরাহ্ন
লালপুরে সাথি ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষে সফলতা

পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুরে বাঙ্গী ও বেগুনের সঙ্গে এবার সাথি ফসল হিসেবে বাণিজ্যিক ভাবে তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষে সফল হয়েছেন ওয়ালিয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোস্তফা বায়েজিদ কাদের নয়ন। তিনি পরীক্ষা মূলক ভাবে চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে বাঙ্গী ও বেগুনের পাশাপাশি চাষ করেছেন সূর্যমুখীর। বর্তমানে তার জমিতে একদিকে যেমন সবুজ পাতার মাঝে শোভা ছড়াচ্ছে হলুদ সূর্যমুখী ফুল।


অন্যদিকে আবার সূর্যমুখী গাছের ফাঁকে ফাঁকে শোভা পাচ্ছে বাঙ্গী ও বেগুন। নিবির পরিচর্যা ও অনুকুল আবহাওয়া হওয়ায় তার জমিতে তিন ফসলই ভালো হয়েছে। কিছুদিন পরেই শুরু হবে সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহের কাজ।


সরেজমিনে ওয়ালিয়া গ্রামের শিমুলতলা এলাকায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোস্তফা বায়েজিদ কাদের নয়নের সূর্যমুখীর বাগানে গিয়ে দেখা যায় সবুজ পাতার মাথায় সূর্যের মত সূর্যমুখী ফুল ফুটে আছে। চারিদিকে সবুজ আর হলুদ মিলে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সূর্যমুখীর সুন্দর্য উপভোগ করতে ও ফুলের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরতে সূর্যমুখীর বাগানে ভীড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা। তুলছেন ছবিও।


এসময় কথা হয় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোস্তফা বায়েজিদ কাদের নয়নের সঙ্গে। তিনি বলেন,‘এবার পরীক্ষা মুলক ভাবে ১ বিঘা জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বেগুন ও বাঙ্গীর সঙ্গে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন তিনি। জমি প্রস্তুত থেকে এখন পর্যন্ত তার জমিতে সূর্যমুখী চাষে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। 


তেমন রোগবালাই না হওয়ায় তার সূর্যমুখীর আশানুরুপ ফলন হয়েছে। শুধু সূর্যমুখীই নয় তার জমিতে বেগুন ও বাঙ্গীরও ফলন ভালো হয়েছে। তার মতে সাথি ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষে তিনি সফল হয়েছেন।’