নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা আত্রাই নদীর দু’তীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই প্রতিনিধি, নওগা:
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:১৭ অপরাহ্ন
নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা আত্রাই নদীর দু’তীর

নদীমাতৃক দেশ আমাদের প্রিয় জন্মভ’মি বাংলাদেশ। উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে সবুজের সমারোহ। নদীমাতৃক এলাকা হিসেবে নদীর দুই তীরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দোল খাচ্ছে সবুজ পাতা।


সবুজই প্রাণের স্পন্দন। বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র। সবুজ মানেই প্রকৃতি। প্রকৃতি মানেই প্রাণ। কোথাও ভুট্টা, কোথাও আলু আবার কোথাও বাদামসহ বিভিন্ন রবিশস্যে এখন দোলা খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। 


৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আত্রাই উপজেলা। উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৭ ইউনিয়নেরই বুক চিড়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থৈ থৈ করলেও শুস্ক মৌসুমে নদীর চরসহ দুই কূলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করে থাকে। বিশেষ করে উপজেলার ইউনিয়নের শলিয়া, তাড়ানগর, বাউল্লা, রায়পুর, শাহাগোলা ইউনিয়নের রসুলপুর, জাতোপাড়া, ভোঁপাড়া ইউনিয়নের সদুপুর, মহাদিঘী, কাশিয়াবাড়ি, ভরতেঁতুলিয়া, আহসাগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরবাড়ি, বেওলা, কুমঘাট, পাঁচুপুর ইউনিয়নের মধুগুড়নই, পাঁচুপুর, মালিপুকুর, পারগুড়নই, গুড়নই, বিশা ইউনিয়নের বৈঠাখালী, উদয়পুর, খালপাড়া পারমোহনঘোষসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার কৃষক নদীর তীরে তাদের জমিতে আলু, ভুট্টা, বাদামসহ বিভিন্ন প্রকারের ফসল ও শাকসব্জি চাষ করেছেন। এসব এলাকার নদীর দুই তীর এখন সবুজে ছেয়ে গেছে। বিশেষ করে আলু ভুট্টা ও বাদামের সবুজ গাছ কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটিয়ে তুলেছে। 


এদিকে এবারে আলুতে বেশ লভবান হওয়ার স্বপ্নে অধিকহারে আলু চাষ করেছেন এলাকার কৃষক। অনুকূল আবহাওয়া ও ভাল পরিচর্যায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা মনে করছেন।


উপজেলার রাইপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাঠে চৈতালী ফসল তেমন হয়না শুধু ধানের জন্যই আমাদের মাঠ বিখ্যাত। তবে নদীর তীরের জমিগুলোতে আলু ভুট্টা সরিষা ও বাদামের খুব ভাল ফলন হয়। এবারে আমি নদীর তীরে ৫ বিঘার অধিক জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর গাছ দেখে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। 


উপজেলার জাতোপাড়া গ্রামের কৃষক মুনির বলেন, আত্রাই নদীর তীরে এখন সবুজের হাতছানি। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। আমি এবার সরিষা তুলে ৪ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। আশা করছি ফলনও ভালো হবে।


এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাওছার হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা যাতে রবিশস্য উৎপাদনে উৎসাহিত হন এ জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিরলসভাবে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। এবার বিপুল সংখ্যক কৃষকদের আমরা রবিশস্য উৎপাদনে কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করেছি। সেই সাথে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প খরচে ফসল উৎপাদনেও আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।