দেবীদ্বারে কম্বাইন্ড হারভেষ্টারে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের, লক্ষমাত্রা পূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা মে ২০২৩ ০৯:১২ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে কম্বাইন্ড হারভেষ্টারে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের, লক্ষমাত্রা পূরণ

কুমিল্লা দেবীদ্বারে চলছে বোরো ধানের ভরা মৌসুম। পাকা ধানের সোনালি রং আর পাকা ফসলের গন্ধে ভরে উঠেছে এখানকার জনপদ। সোনালি ফসলে ভরে উঠেছে এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা, এ যেনো শস্যের এক মায়াবী জগৎ। কৃষকের চোখে মুখে বাধভাঙ্গা আনন্দ নিয়ে চলছে ফসল গোলায় তোলার আয়োজন।


প্রাচীনকাল থেকে মাঠের ফসল কেটে গোলায় তোলতে কৃষকদের যে পরিশ্রম করতে হতো তাতে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির কম্বাইন্ড হারভেষ্টার মেশিন। খরচ ও সময় কমে লাগায় এ যন্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।


বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার একাধিক গ্রাম ঘুরে দেখা যায় কৃষকদের বোরো ধান কাটার উৎসব চলছে। কৃষাণ- কৃষাণীরা ধান কাটা, মারাই ও গোলায় তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসময় উপজেলার বারেরা গ্রামে দেখা মিলে কম্বাইন্ড হারভেষ্টার মেশিনে কৃষকের ধান কাটার চিত্র। কথা হয় কৃষকদের সাথে। 


কৃষক শাহআলম মিয়া বলেন, বর্তমান সময়ে শ্রমিকের যে মূল্য ৩০ শতাংশ জমি কাটাতে ৪-৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ৬-৭ ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন। সেখানে হারভেষ্টার মেশিনে ২ হাজার ৮ শত টাকায় মাত্র ২০ মিনিটেই ধান কাটানো শেষ করলাম। সময় টাকা দুটোই সাশ্রয় হলো।


কৃষক ফারুক জানায়, বোরো মৌসুমে শ্রমিক সংকট থাকায় শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই হারভেষ্টার মেশিনে ধান কাটালাম। হারভেষ্টারে স্বল্প সময়ে ধান কাটা ও মারাই একসাথে করা হয়। কৃষকদের জন্য এই যন্ত্রটি খুবই উপকারী।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বোরো মৌসুমে ১২হাজার ৬শত ২৫হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ছে। যা অতিক্রম করে ১২হাজার ৬শত ৩০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। বোরো মৌসুমে শ্রমিক সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলায় ধান কাটায় কম্বাইন্ড হারভেষ্টার মেশিনের চাহিদা দেখা গেছে। এবার বি-ধান ২৮ ও বি-ধান ২৯'র ফলন কিছুটা খারাপ হলেও নতুন কিছু জাত যেমন বি-ধান, বি-ধান ৯২, বি-ধান ৯৬, বি-ধান ৭৪'র বাম্পার ফলন হয়েছে।


দেবীদ্বার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, আমাদের এবার বোরো ধানের লক্ষ মাত্রা পূরণ হয়েছে। কৃষকরা মৌসুমী ধান ঘরে তুলছেন। উপজেলায় শ্রমিকের পাশাপাশি ১২টি কম্বাইন্ড হারভেষ্টার মেশিনে ধান কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাঠের ৮৫ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। নতুন কিছু ফসল বি-ধান ৭৪, বি-ধান ৯২, বি-ধান ৯৬'র বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের এসব নতুন জাত রুপনে আগ্রহ বাড়াতে পারলে আগামীতে আরো ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব হবে।