প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫১
নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন থেকে মো. মাহফুজ (২৫) নামের এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার কাজির চর গ্রামের ছায়েদুল হকের বাড়ির রান্নাঘরের পাশে একটি পেয়ারা গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত মাহফুজ পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ছায়েদুল হকের ছেলে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মাহফুজের পরিবারের দাবি, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রবাসী এক বন্ধুর স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
নিহতের চাচা মো. মাফুউল্যা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী বন্ধু সোহাগের পরিবারের সঙ্গে মাহফুজের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সোহাগ সৌদি আরবে যাওয়ার পর তার স্ত্রী আছমা আক্তার টিকটকে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে পরিবারে কলহ তৈরি হয় এবং সম্প্রতি আছমা মাহফুজের ফোনে টিকটক ভিডিও পাঠাতে শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, মাহফুজের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে শুক্রবার সকালে সোহাগের পরিবারকে সতর্ক করা হয়। এরপর বিকেলে সোহাগের স্ত্রী আছমা, ভাই সবুজ ও ভগ্নিপতি শাহীন মাহফুজকে হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি ভিডিও কলে সোহাগও মাহফুজকে দেখে নেওয়ার কথা বলেন।
নিহতের চাচা আকবর হোসেন শিপন জানান, শুক্রবার রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মাহফুজের মা বাড়ির পিছনে গিয়ে তাকে বাঁধা অবস্থায় মৃত দেখতে পান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মাহফুজের বাবা ছায়েদুল হক দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা নয় বরং হত্যাকাণ্ড। তিনি অভিযোগ করেন, সোহাগের স্ত্রী আছমা তার ছেলেকে পরকীয়া প্রস্তাব দিতেন। এতে বাধা দেওয়ায় আছমা ও তার আত্মীয়রা পরিকল্পিতভাবে মাহফুজকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।
এদিকে, সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এই প্রতিবেদনটি প্রায় ৪০০ শব্দের মধ্যে সাজানো হয়েছে এবং সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী করে ৮টি পৃথক অনুচ্ছেদে উপস্থাপন করা হয়েছে। চাইলে আমি এর জন্য মেটা কীওয়ার্ড ও হ্যাশট্যাগও সাজিয়ে দিতে পারি। চাই কি?