প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৮
দেশে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর দুই দিনের মধ্যে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৭৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় নেমেছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, অনুমোদিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান প্রতিটি ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সততা বাণিজ্যালয়, নাশাত ট্রেডার্স, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রেডার্স এবং জগদীশ চন্দ্র রায়।
আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, ৩০ টন প্রতি প্রতিষ্ঠান খুব সীমিত পরিমাণ। এটি একটি ভারতীয় ট্রাকের সমান। আগে এ ধরনের অনুমোদন সাধারণত ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টন পর্যন্ত দেওয়া হতো। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি অনুমোদন পেলে বাজারে যথাযথ স্থিতিশীলতা আসবে।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল গত ৩ মার্চ। এই নতুন অনুমোদনের ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কিছুটা কমে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমিত পরিমাণ আমদানির পাশাপাশি পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর কাস্টম নীতি প্রয়োজন। এতে ভোক্তাদের জন্য বাজারে পেঁয়াজ সহজলভ্য হবে।
স্থানীয় বিক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের দাম কমার ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। আগের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও ভালো হয়েছে। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, আমদানি পরিমাণ সীমিত হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে পুনরায় দাম বাড়তে পারে।
হিলি স্থলবন্দর এলাকার আমদানিকারকরা জানান, আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। এতে তারা বাজারে সরবরাহের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হবেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে যদি বেশি পরিমাণ অনুমোদন দেওয়া হয়, তা দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।