বরিশালের হিজলা থানায় এস,এম, নূর হোসেন সুজন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে হরিনাথপুর বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার হরিনাথপুর বাজারে বুধবার(১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় স্থানীয় জনগণের ব্যানারে হরিনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাদল মুন্সী ও যুবলীগ নেতা জনির বিরুদ্ধে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে নুর হোসেন সুজন বলেন, আমি বরিশাল জেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। আমার বিরুদ্ধে হিজলা থানায় চলছি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর একটি মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস ও আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ মাজহারুল,বাদল মুন্সী, জনি গং-রা সংক্রান্ত লিপ্ত রয়েছে ।
মাজহারুল ইসলাম এবং যুবলীগ নেতা জনি খন্দকার ২০২১ সালে আমার ড্রেজার থেকে জোরপূর্বক নতুন ১২০ টি পাইপ ও নগদ ২,২১,৮৫০ টাকা নিয়ে যায়। এই মাজহারুল ৫ আগস্টের আগে এবং পরে বিভিন্ন অপকর্ম ও মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার মেহমান কলেজে চাকরীরত অবস্থায় ৫,০০,০০০ টাকার দুর্নীতির দায়ে কর্তৃপক্ষ তাকে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছিল।
গত বছর ৬ই আগস্ট জব্বার মেহমান কলেজের প্রিন্সিপালকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কলজে দখল নিয়ে নিজেকে স্বঘোষিত প্রিন্সিপাল হিসাবে দাবী করেন। আমার ড্রেজারের পাইপ ও নগদ টাকার সমাধান চাইলে বাদল মুন্সী ও মাজহারুল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এলাকায় ব্যবসা করতে হলে প্রতি মাসে তাদেরকে ২,০০,০০০ টাকা ও আমার ইট ভাটার শতকরা পঞ্চাশ ভাগ পার্টনারশীপ লিখে দিতে হবে। না দিলে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও আমার পরিবারের মানসম্মান নষ্ট করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করবে বলে আমাকে হুমকি প্রদর্শন করে।
মাজহারুল আওয়ামীলীগের আমলের ইউপি সদস্য ছিলো। পাশাপাশি আওয়ামী চেয়ারম্যান তৌফিক সিকদারের দোসর হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলো। সে টাকার বিনিময় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের পদ কিনে নেয়। এখন সে নিজেকে হরিনাথপুর ইউনিয়নের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান বলে নিজের পরিচয় দিয়ে থাকে। এর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। আমরা এলাকার সাধারণ জনগণ এই চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী মাজাহার মুক্ত হরিনাথপুর দেখতে চাই।