প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৯
কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সাগরে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ট্রলারগুলোর মধ্যে তিনটির মালিক টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা এবং বাকি দুইটির মালিক শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা।
টেকনাফ পৌর বোট মালিক সমিতি জানায়, বিকেলে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি ট্রলারে মাছ ধরা হচ্ছিল। এ সময় দুইটি স্পিডবোটে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জেলেদের আটক করে। পরে পাঁচটি ট্রলার এবং অন্তত ৩০ জন জেলেকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়।
জেলেদের অপহরণের খবর পেয়ে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলের তথ্য সংগ্রহে নেমেছে। কোস্টগার্ড জানিয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে এবং তারা ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আরাকান আর্মি ১৩টি ট্রলারসহ ৮১ জন জেলেকে অপহরণ করেছিল। এখনও অনেকের অবস্থার খবর স্বজনদের কাছে পৌঁছায়নি।
পূর্ববর্তী তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ৩২৫ বাংলাদেশি জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সময়ে কিছু জেলে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
টেকনাফের জেলেদের পরিবারের উদ্বেগের মাত্রা বেড়ে গেছে। তারা নিরাপত্তা এবং দ্রুত রিলিজের দাবি জানাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা সব ধরনের চেষ্টায় লাগাতার ব্যস্ত আছেন।
এ ঘটনায় বঙ্গোপসাগর এবং নাফ নদীর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাছ ধরার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় জেলেরা বলছেন, অপহরণের ঘটনা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।