প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মেহেরপুরে হেযবুত তওহীদের আয়োজনে ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেলার সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
হেযবুত তওহীনের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান সুমন। তিনি তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমের ভিত্তিতে রাষ্ট্রনীতি, রাজনৈতিক দল, বিচারব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, মসজিদ ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, নারীর মর্যাদা, অন্যান্য ধর্মের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা নির্ভর করে গৃহীত ব্যবস্থার কার্যকারিতার উপর। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, মানবসৃষ্ট মতবাদ কোনো দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, বরং অন্যায় ও সংঘাত সৃষ্টি করেছে। একমাত্র স্রষ্টার প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা ন্যায়, সাম্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
সুমন আরও বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে গণমাধ্যমে অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে, তবে এটি আল্লাহ প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য প্রচার, অপবাদ বা গোপন গোয়েন্দাগিরি করতে পারবে না। পবিত্র কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতিসহ তিনি গণমাধ্যম ও জনগণের বাক-স্বাধীনতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
সভায় উপস্থিত বক্তারা একমত হন যে, গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সত্য যাচাই করে তথ্য প্রচার করা। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামী নীতির অংশ।
মিনারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীনের খুলনা বিভাগীয় আমির তানভির আহমেদ, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক আমির জসেব উদ্দীন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মাহমুদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স এবং গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহবুব আলম।
সভায় আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপায়ণ এবং বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুদৃঢ় মতামত উপস্থাপন করেন। তারা মতামত দেন কিভাবে রাষ্ট্রের নীতি, গণমাধ্যম, বিচার ব্যবস্থা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম তওহীদভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালিত হতে পারে।