"ধানমন্ডি ডাকাতি মামলায় সাহসী শ্রমিকদের পুরস্কার ও নিয়োগের ঘোষণা"

ধানমন্ডির এক দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলায় চারজন সন্দেহভাজনকে আটকে দেওয়ার সাহসিকতার জন্য পাঁচ নির্মাণ শ্রমিককে পুরস্কৃত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্সে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

ঘটনাটি ঘটেছিল বুধবার ভোরে ধানমন্ডিতে 'অলংকার নিকেতন' জুয়েলার্সের মালিক এম এ হান্নান আজাদের বাসায়। ডাকাতরা র‍্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট ও ছাত্র পরিচয়ে বাসায় প্রবেশ করে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। এসময় পাশের নির্মাণাধীন ভবনের পাঁচ শ্রমিক তাদের বাধা দিয়ে চার ডাকাতকে আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশ আরও দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর নির্দেশনায় এই সাহসী শ্রমিকদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে জানান ডিসি তালেবুর রহমান। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা জোরদার করতে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বিশেষ টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। গত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ডাকাতি মামলা দ্রুত সমাধান করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, এই ডাকাতি চক্রে ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য থাকতে পারে। গ্রেফতারকৃত ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গত বছর এই জুয়েলার্স থেকে সাড়ে সাত হাজার ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায়ও এই চক্র জড়িত থাকতে পারে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ফরহাদ বীন মোশারফ, ইয়াছিন হাসান, মোবাশ্বের আহাম্মেদ, ওয়াকিল মাহমুদ, আবদুল্লাহ ও সুমন অন্যতম। পুলিশ জানায়, ডাকাতদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও লুটকৃত কিছু সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯৯৯ হেল্পলাইনে দ্রুত যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।