হিলিতে ক্রেতা সংকটে বিপাকে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩১শে ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
হিলিতে ক্রেতা সংকটে বিপাকে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ক্রেতা সংকটের কারণে বিপাকে এখানকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। বন্দর দিয়ে আগে নেওয়া অনুমতিপত্রের (আইপি) মাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ এর সরবরাহ এবং দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমায় দামও কমছে বলে মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। হিলি বন্দরের খুচরা বাজারে বর্তমানে ২১ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।


বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বন্দরের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এর দাম কমেছে কেজিতে তিন টাকা। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ এর পর্যাপ্ত সরবরাহ ও ভারতের আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা না থাকা এবং ক্রেতা সংকটের কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজের বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। 


হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ এর চাহিদা না থাকা ও ক্রেতা সংকট এর কারণে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের পুরনো পেঁয়াজ তিন দিন আগে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে তা কেজিপ্রতি ২১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৩ টাকা এবং নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৭ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


বন্দরের আর এক জন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শেরেগুল ইসলাম জানান, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন জাতের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দেশের বাজারে দাম কমছে। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমার পরও বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম কমতির দিকে।


এদিকে হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ ওঠানামা করছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বন্দর দিয়ে নয়টি ট্রাকে ২৪৬ টন আমদানি হয়েছে।


উল্লেখঃ গত ২০ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) বন্ধ করে দেয় সরকার। দেশের কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়। তবে আগের অনুমোদনপ্রাপ্ত এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকের প্রায় ৫০ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের আইপি নেওয়া আছে বলে জানা গেছে।