দেশি জাতের আধাপাকা লিচুতে সয়লাব বরিশালের বাজার!

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: সোমবার ১৬ই মে ২০২২ ০৭:১৮ অপরাহ্ন
দেশি জাতের আধাপাকা লিচুতে সয়লাব বরিশালের বাজার!

আধাপাকা রসালো ফলে সয়লাব বরিশালের বাজার। অধিক লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই লিচু ও আম বাজারে এনেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ। তবে মৌসুমের নতুন ফল হিসেবে তুলনামূলক একটু বেশি দামেই লিচু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজারগুলোতেও লিচুর বেশ চাহিদাও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর কয়েকদিন পর বিভিন্ন উন্নত জাতের লিচু বাজারে পাওয়া যাবে।


বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর ফলপট্টি, গীর্জামহল্লা, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল, কাশিপুর বাজার, হাতেম আলী চৌমাথা, রুপাতলী, হাটখোলাসহ বিভিন্ন অলিগলির দুই পাশে লিচুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ঝুড়ির মধ্যে কিংবা টুলের ওপর সাজানো সবুজ পাতায় মোড়ানো লাল আভার লিচুগুলো এখন থোকায়-থোকায় শোভা ছড়াচ্ছে।


এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী বাড়তি লাভের আশায় সময়ের আগেই বাজারের ঝুড়িতে তুলেছে দেশি জাতের আধপাকা লিচু। দাম বেশি, আকারে ছোটো আর স্বাদেও টক মিষ্টি হলেও লিচুর দাম কিন্তু বেশি। প্রতি শ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। অথচ পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতি হাজার লিচু বিক্রি করছেন পাঁচশ থেকে ১০০০ টাকা দরে। জানা গেছে, এসব আগাম জাতের লিচু ইশ^রদী, মেহেরপুর ও পাবনা থেকে সংগ্রহ করছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। আগাম বাজারে আসা এসব লিচু দেশীয় জাত বলছেন ব্যবসায়ীরা। এই দেশীয় জাতের লিচুগুলো একটু টক ও হালকা মিষ্টি।


নির্জনা খানম নামের এক ক্রেতা জানান, ছোট্ট আদরের মেয়ের বায়নার কারণে শহরের বাস টার্মিনাল বাজার থেকে ১০০টি লিচু কিনেছেন ৩০০ টাকা দরে। তবে স্বাদ ও গুণে এখনো লিচু পরিপক্ব হয়নি। কেবলমাত্র বাড়তি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে লিচু ভাঙছেন। এগুলো দেশি জাতের লিচু। স্বাদেও টক-মিষ্টি। অনেকগুলো খুবই টক।


নতুন বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী মিন্টু জানান, বাজারে লিচু আসা শুরু হয়েছে। এগুলো দেশি জাতের গুটি লিচু। তাই আকারে ছোট, স্বাদেও টক। বাজারে পুরোদমে লিচু আসা শুরু হয়নি। যে কারণে বর্তমানে লিচুর দাম একটু বেশি। আগামী দুই সপ্তার মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসতে শুরু করবে। তখন সব ধরনের ক্রেতা লিচুর স্বাদ নিতে পারবে।


এদিকে লিচুর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের আমও উঠেছে বরিশালের বাজারে। নাম ও আকার ভেদে এসব আম প্রতিকেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে অধিকাংশ ফলের পরিপক্কতা এখনো আসেনি।