সুতপার কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল লতা মঙ্গেশকরের ‘যা রে যা রে উড়ে যা রে পাখি’, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘আকাশের অস্তরাগে’ কিংবা নাহিদ নিয়াজির ‘আকাশের ওই মিটিমিটি’ গানগুলো। তার মধুর কণ্ঠ মন ছুঁয়েছে বাংলার আনাছে কানাছে। তবে সুতপা মন্ডলের গল্প এখানে শেষ নয়। নতুন গল্পের জন্ম দিলেন সুতপার বাবা। তা হলো সুতপার কণ্ঠে ভাইরাল হওয়া গান শুনছেনে প্রখ্যাত জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আবিদা সুলতানা। শুনার পরে তার কাছে মনে হয়েছে মেয়েটির কন্ঠ প্লে-ব্যাক এর কন্ঠ।
পরে শিল্পী আবিদা সুলতানার ছোট ভাই জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক শওকাত আলী ইমন কে ফোন করে বলেন, ‘সুতপা’ মেয়েটার গলাটা অসম্ভব ভালো, তুই মেয়েটা কে সিনেমাতে সুযোগ দিতে পারিস । বোনের কথা ফেলতে না পেরে শওকাত আলী ইমন সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর এর সাহায্য নিলেন। পরের দিন মেয়েটার বাবার সাথে যোগাযোগ করা হলো সাতক্ষীরা জেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি’এম জিল্লুর রহমানের মাধমে। মেয়েটার বাবাকে ফোন করে ইমনের পরিচয় দিয়ে সুতপাকে শেলী মান্না প্রযোজিত “জ্যাম’ সিনেমাতে গান করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তখন সুতপা মন্ডলের বাবা শওকত আলী ইমনকে বিনয়ের সাথে বলেন আমার মেয়ের স্কুল কমিটির অনুমতি ছাড়া কিছু করতে পারবোনা স্যার, আর মেয়েকে এখন কোনও গান করতে দিতে চাচ্ছি না, তার পড়া লেখা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এক সপ্তাহ পরে শওকাত আলী ইমন জানতে পারেন ‘সুতপা মন্ডল’ প্রথম মাইক্রো ফোনের সামনে দাঁড়ালেন। গাইলেন কুমার বিশ্বজিতের সুরে, কবির বকুলের লেখা ‘মুখোমুখি’ শিরোনামে গানটি। এমন সংবাদ দেখে কষ্ট নিয়ে ইমন বলেন, শিল্পীরা চলচ্চিত্র প্লে-ব্যাক করার জন্য অস্থির হয়ে উঠেন। জীবনে একটি সিনেমাতে যদি প্লে-ব্যাক করতে পারতেন তাহলে তাদের জীবন সার্থক মনে করতেন। সেই প্লে-ব্যাকে সুযোগ পেয়েও হাত ছাড়া করলেন ‘সুতপা মন্ডল’। দোয়া করি ‘সুতপা মন্ডল’ বাংলা সঙ্গীতের একটি নক্ষত্র হয়ে থাক সারাজীবন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।