ভারতের দিল্লি সহিংসতার মূল টার্গেট মুসলিমরা। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়। মুসলমানদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মসজিদে আগুন দিয়ে মিনারের চূড়ায় হনুমানের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুরা। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।
ভারত আয়তনে বিশাল একটি দেশ হলেও দেশটির রাজধানীতেই মুসলিমদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভারতের অন্যান্য স্থানে কী হতে পারে; তা সহজেই অনুমেয়। মুসলিমদের উপর এই নির্যাতনের বিষয়টি সারাবিশ্বেই দাগ কেটেছে। পাশাপাশি টানা তিন দিন ধরে সংঘর্ষ চললেও এখনও তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দিল্লি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির পুলিম বিভাগের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এই ঘটনার ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশেও। দিল্লির এই সংঘর্ষ ও মুসলিম নির্যাতন ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিপজ্জ্বনক, মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক বলে অভিহিত করেন তিনি। একইসাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মোদিকে নিমন্ত্রণ করা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ড. আসিফ নজরুল একথা বলেন।
পাঠকদের সুবিধার্থে ড. আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো...
‘মোদী বিপজ্জ্বনক, মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক।
দিল্লীতে মুসলিম নিধনের ঘটনায় তা আবারো প্রমাণিত হলো।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তাকে নিমন্ত্রণ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম অবমাননাকর।
ভারত থেকে কাউকে আনতে হলে প্রণব বা ভারতের এখনকার রাষ্ট্রপতিকে আনুন।
নট মোদী। (মোদিকে নয়)’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।