আফিফ-মিরাজের ফিফটিতে জয়ের পথে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৯ অপরাহ্ন
আফিফ-মিরাজের ফিফটিতে জয়ের পথে বাংলাদেশ

টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে চট্টগ্রামের সাগরিকা পাড়ের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংগ্রামের নতুন মহাকাব্য লিখছেন দুই তরুণ টাইগার ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। বুক চিতিয়ে লড়ে এরই মধ্যে ১৪৩ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন। দলীয় স্কোরও দেড়শ ছাড়িয়েছে।


দলের সিনিয়রদের ব্যর্থতার দিনে প্রথমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন আফিফ। ৬৪ বল খেলে ৫টি চার আর ইনিংসের একমাত্র ছক্কায় ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই তরুণতুর্কি। অষ্টম ওয়ানডেতে গড়ানো ক্যারিয়ারে তার প্রথম অর্ধশতক এটি। 


অন্যদিকে, আফিফের ফিফটি করলেন মেহেদী মিরাজও। ৭৯ বল খেলে ৬ চারে ৫৩ করেছেন। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ছন্দে ছিলেন না আফিফ। তবে ব্যাট হাতে আজ ঠিকই জ্বলে উঠলেন। অন্যদিকে, দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে পথ দেখাচ্ছেন মিরাজ।


আফগানিস্তানের দেওয়া মাত্র ২১৬ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় রান পঞ্চাশ না পেরোতেই ফিরে গেছেন দলের প্রথম সারির ছয় ক্রিকেটার। তবে এরপরই হাল ধরেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ এবং মেহেদী মিরাজ। 


সিঙ্গেল, ডাবল কিংবা বাজে বলে চার মেরে টপ অর্ডারের ধ্বংসস্তূপে যেন ফুল ফোটাচ্ছেন দুজনে মিলে। তবে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে এ ম্যাচটি জিততে হলে এখনো করতে হবে ৮৬ রান। হাতে আছে ২০ ওভার। 


আফিফ-মিরাজ জুটির পর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই। আর তাই এই ম্যাচ এখনো আফগানিস্তানের দখলে। তবে সংগ্রামটা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন এ দুজনে মিলে। 


১৩ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ফজল হক ফারুকীর বল লিটন দাসের ব্যাটের কানায় লেগে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচটি তালুবন্দি করেন। যদিও প্রথম দফায় আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে সফলতা পায় সফরকারীরা।


লিটন দাসের হতাশার দিনে হতাশা বাড়ালেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তামিম। কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারলেন না। রান করলেন মাত্র ৮।


ফজল হক ফারুকীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা ওপেনার। কিন্তু এবারও প্রথম দফায় আউট দেননি আম্পায়ার। আবারও রিভিউ, আবারও আফগানিস্তানের সফলতা।


লিটন-তামিমের পথ ধরলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমও। এবারও বোলার সেই ফজল হক ফারুকী। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ৫ বল খেলে করেছেন মাত্র ৩ রান। ফজল হকের টানা চার উইকেটের পর বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান তারকা স্পিনার মুজিব উর রহমান। ফরচুন বরিশালের সতীর্থ সাকিব আল হাসান তার বল খেলতে গিয়েও ব্যাট থেকে গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তার আগে ১৫ বলে এক চারের মারে করেছেন ১০ রান।


এদিকে, ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচটা রাঙানোর স্বপ্ন বুনেছিলেন চট্টগ্রামের ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু টিম টাইগার্সের টপ অর্ডারে ধস নামানো আফগান পেসার ফজল হক ফারুকীর কাছে যেন পাত্তাই পেলেন না। পাঁচ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন।