কলাপাড়ায় পাঁচ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র নাঈম ঘরামীর পায়ে শিকল বেঁধে বর্বর কায়দায় মারধর করা হয়েছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার তিন মাস পরে নাঈমের বাবা নাসির উদ্দিন ঘরামী কলাপাড়া থানায় সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রাতেই পুলিশ মূল হোতা আবুল বাসারকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, টাকা চুরির অজুহাতে ৩ আগস্ট বিকালে নাঈমকে একই গ্রামের মোঃ আবুল বসার (৪০), মাসুদ ঘরামী (১৯), আলী আহমেদ (৫৬) ও মোসা. শেফালী বেগম (৪৫) নাঈমকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে পায়ে শিকল দিয়ে খুটির সঙ্গে বেধে রাখে। এরপরে বেধড়ক পেটানো হয়। রাত আটটা পর্যন্ত দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। পরে গ্রামের লোকজন অর্ধচেতন অবস্থায় নাঈমকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে এ কথা কাউকে না বলার জন্য খুন-জখমের হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে নাঈম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এখনও স্বাভাবিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেনি নাঈম। বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। যেখানে নাইমকে বেধড়ক নির্যাতনের দৃশ্য ফুটে উঠেছে। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসীম জানান, এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে মূল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। একটি মামলা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।