রৌমারীতে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে মে ২০২২ ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
রৌমারীতে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পাঁচ মাসের এক শিশু সন্তানসহ মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার দাবি করেছে।


শনিবার (২১ মে) সকালে উপজেলার সদর ইউপির নতুন বন্দর গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে শিশুর লাশ এবং পাশের একটি পুকুর থেকে গলা কাটা অবস্থায় গুরুতর আহত মাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মায়েরও মৃত্যু হয়। 


নিহত মায়ের নাম হাফছা আক্তার হারেনা (২৭)। তার শিশু পুত্রের নাম হাবিব। হাফছার বাড়ি রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর এলাকায়। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রশীদের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি উপজেলার শৌলমারী ইউপির ওকড়াকান্দা গ্রামে। স্বামীর নাম শাহের আলী।


নিহত হাফছার বড় ভাই হাসেনুর রহমান জানান, কাজের সূত্রে হাফছার স্বামী জামালপুরে থাকেন। শিশু সন্তান অসুস্থ্য থাকায় তার চিকিৎসার জন্য হাফছা গত বৃহস্পতিবার ওকড়াকান্দা গ্রামে তার স্বামীর প্রতিবেশী ও উকিল বাবা জাকির হোসেন জফিয়ালের বাড়িতে যান। সেখান থেকে শুক্রবার জফিয়ালের সাথে কুড়িগ্রামে গিয়ে শিশু হাবিবকে ডাক্তার দেখিয়ে বিকালে আবারও রৌমারীতে ফিরে আসেন। সর্বশেষ বিকালে তার বোনকে (হাফছা) ফোন দিলে তিনি নৌকায় করে রৌমারী ফিরছেন বলে জানান। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে সে আর ফোন ধরছিল না। পরে শনিবার সকালে নতুনবন্দর গ্রামে হাফছার বাবার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি ধান ক্ষেত থেকে শিশু হাবিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশের একটি পুকুর পার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাফছাকে উদ্ধার করে মংমনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত উকিল বাবা জাকির হোসেন জফিয়াল পলাতক রয়েছেন।


স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের পর থেকে হাফছার সাথে তার স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না। এজন্য হাফছা বেশির ভাগ সময় তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। জন্মের পর তার সন্তান অসুস্থ্য থাকায় তার স্বামী খুব একটা খোঁজ খবরও নিতেন না। তবে ঠিক কী কারণে কে বা কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে মা ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’


এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন,  ‘খবর পেয়ে হাফছার স্বামী জামালপুর থেকে রৌমারী এসেছেন। তিনি এখন থানায় রয়েছেন। জফিয়ালের ব্যাপারেও খোঁজ খবর চলছে।’