টেকনাফে ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির, উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৮ অপরাহ্ন
টেকনাফে ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফের হীলায় অভিযান চালিয়ে ২কোটি ৭০লক্ষ ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি নৌকা এবং অন্যান্য চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।


বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ২কোটি ৭০লক্ষ ২৮ হাজার ২২০ টাকা মূল্যমানের ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি কাঠের নৌকা এবং অন্যান্য চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার করা হয়।


টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।


তিনি জানান, বুধবার ভোররাতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি'র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বিআরএম-১২ হতে ৫০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে মেম্বার ঘাট এলাকায় নাফ নদীতে নৌকাযোগে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। কিছুক্ষণ পর টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে মায়ানমার হতে একটি কাঠের নৌকাযোগে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে।


 উক্ত নৌকাটি দেখা মাত্রই পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল বর্ণিত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ ও ধাওয়া করলে উক্ত ব্যক্তিরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি উদ্ধার করে নৌকার পাটাতনের নিচ থেকে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। 


উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৯০ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১প্যাকেট রীচ কফি, ৩কেজি শুটকি, ১০ প্যাকেট বার্মিজ সিগারেট, ৫ প্যাকেট বিস্কুট ও ২ বোতল কোমল পানীয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে উক্ত কাঠের নৌকাটিও জব্দ করাহয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, কাঠের নৌকা ও অন্যান্য চোরাচালানী মালামালের আনুমানিক সিজার মূল্য ২কোটি ৭০লক্ষ ২৮ হাজার ২২০ টাকা।


পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ভোর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত নৌকা ও অন্যান্য চোরাচালানী মালামাল হ্নীলা শুল্ক গুদামে জমা করে মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেট বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম শেষে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।