কুল্যায় বসত বাড়িতে সকলকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বুধবার ১৮ই অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪০ অপরাহ্ন
কুল্যায় বসত বাড়িতে সকলকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট

আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় বসত বাড়িতে চেতনা নাশক স্প্রে বা ঔষধ দ্বারা সকলকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করার ঘটনা ঘটেছে। 


বুধবার দিবাগত রাতে কুল্যা গ্রামের সাধুপাড়ার কিনু কর্মকারের ছেলে গৌর কর্মকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চেতনা নাশক ঔষধের প্রভাবে অচেতন অবস্থায় গৌর কর্মকার, স্ত্রী বিথীকা কর্মকার ও ছেলে কৌশিক কর্মকারকে রবিবারের সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


গৌর কর্মকারের ছোট ভাই গোবিন্দ কর্মকার জানান, তার দাদা গৌর কর্মকার, বৌদি বিথীকা কর্মকার সাতক্ষীরার একটি অনুষ্ঠান থেকে শনিবার রাতে বাড়ীতে ফিরে ছোট ছেলে কৌশিক কর্মকার নিয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোন এক সময় সঙ্গবদ্ধ চরের দল চেতনা নাশক ঔষধ বা স্প্রে দ্বারা তাদের সকলকে অচেতন করে ফেলে। গৌর কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার জানান, চুরি সংগঠিত কালে একটি টাচ মোবাইল ফোন, আনুমানিক নগদ দুই লক্ষাধিক টাকা ও তার মায়ের জন্য তৈরি করা কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে সঙ্গবদ্ধ চোরের দল। তবে তার বাবা গৌর কর্মকার সুস্থ না হলে, সঠিক তথ্য জানা যাবে না বলে জানান তিনি।


গোবিন্দ কর্মকার আরও জানান, রবিবার সকালে তার দাদার পরিবারের কারও কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাড়ির ভিতরে গেলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা। এ সময় অচেতন অবস্থায় গৌর কর্মকার, স্ত্রী বিথীকা কর্মকার ও ছোট ছেলে কৌশিক কর্মকারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  


বিষয়টি জানতে পেরে আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন, কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ওমর সাকী ফেরদৌস পলাশ, ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আঃ মজিদ গাজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সম্প্রতি এর আগে নওয়াপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বাড়ীতে একই পন্থায় চুরি সংগঠিত হয়। এসকল এলাকায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়া, মাদকসেবীর আনাগোনা, এলাকায় বহিরাগত মানুষের আগমন ঘটায় এবং রাতে পুলিশি টহল জোরদার না থাকাকেই চুরির ঘটনার জন্য দায়ী বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অচেতনদের উন্নত চিকিৎসা প্রদান সহ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানাগেছে।