প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৮
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহগুলো রাজধানীর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে একজন ৩ বছরের শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃতদের পরিচয় এবং মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের চেষ্টা চলছে।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছ থেকে প্রথমে ৩০ বছরের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কালো রঙের বোরকা পেঁচানো ছিল এবং পরনে গোলাপি রঙের সেলোয়ার-কামিজ ছিল। এক ঘণ্টা পর একই স্থানে ওই নারীর ৩ বছরের ছেলে সন্তানের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছে ৪০ বছরের এক পুরুষ এবং ৩০ বছরের আরেক নারী ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুরুষের পরনে কালো প্যান্ট ও চেক ফুল শার্ট ছিল, নারীর পরনে ছাই রঙের গেঞ্জি ও লাল সেলোয়ার ছিল। তাদের শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে।
কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছে একজন নারী ও একজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্তকর্মীরা আশপাশের এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। নদীতে ভাসমান লাশ উদ্ধার হওয়ার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসন এবং নৌ-পুলিশের সদস্যরা আরও সতর্ক হয়ে নদী ও তীরবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, নদীতে এই ধরনের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বিরল হলেও মানুষকে সাবধান থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা নিহতদের পরিচয় এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনার প্রভাব এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।