প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৩৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত দুই যুবকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহতরা হলেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার লটপটিয়া খামারবাড়ি এলাকার আবু তাহেরের ছেলে জাকির হোসেন এবং একই উপজেলার দক্ষিণ গোমাতলীর মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মিজানুর রহমান।
জাকিরের বাবা আবু তাহের জানান, তার ছেলে পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। আমেরিকা যাওয়ার জন্য গুলিস্তানের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন তিনি।
গত ১০ আগস্ট সকালে আদম ব্যবসায়ীরা মিজান ও জাকিরকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখার কথা বলে নিয়ে আসে। পরে রোগী দেখে জাকিরকে পল্টনের সেই ট্রাভেল এজেন্সিতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
দুই বছর আগে দালালের চক্রান্তে পড়ে জাকির ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন উক্ত এজেন্সিকে। তবে আমেরিকা পাঠানোর পরিবর্তে তাকে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ছয় মাস ঘুরিয়ে আনা হয়।
পরবর্তীতে আমেরিকা যাওয়ার কথা তুললে মিরাজ, বজলু, ইমন, রাশেদ ও ফরহাদ নামের ব্যক্তিরা তাকে নানা সময়ে হুমকি দিত বলে দাবি করেছেন আবু তাহের। এ সময় একাধিকবার জাকিরকে মারধরও করা হয়েছিল।
সেই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ আগস্ট। কিন্তু তার পরদিনই ঢাকায় একটি গাড়ি থেকে জাকির ও মিজানের লাশ উদ্ধার হয়। পরিবারের ধারণা, তাদের হত্যা করে গাড়িতে ফেলে রাখা হয়েছে।
মিজানের মামা মো. জাহেদ আহমেদ জানান, তার ভাগিনা কৃষিকাজ ও গ্রামের নানা কাজে যুক্ত ছিল। ড্রাইভিং শেখার জন্য জাকিরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল তার।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কে জানতো ঢাকার একটি হাসপাতালের বেজমেন্টে তাদের হত্যা করে এভাবে গাড়িতে ফেলে রাখা হবে।
দুই পরিবারেরই দাবি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।