দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের বড় চালান আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার ২৮শে অক্টোবর ২০১৯ ০৫:১৫ অপরাহ্ন
দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের বড় চালান আসছে

পেঁয়াজের দাম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের বড় চালান দেশে পৌছাঁলে দাম দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে, প্রতিদিন আমদানিকৃত পেঁয়াজ আসছে। পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

আরও জানানো হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনেকবার সভা করেছে, নিয়মিতভাবে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও কোন ব্যবসায়ী অবৈধ পেঁয়াজ মজুত, কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা, স্বাভাবিক সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেশের বেশ কয়েকটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিসর ও তুরস্ক থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছে। দু-একদিনের মধ্যে এ সব পেঁয়াজের চালান দেশে পৌছাঁলে দ্রুত মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। তাছাড়া, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গৃহিত পদক্ষেপগুলো হলো- আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে। এলসি’র মাধ্যমে মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোতে বিক্রিত পেঁয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব