রাবির ছাত্রকে মারধর, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৫ই নভেম্বর ২০১৯ ০৬:০২ অপরাহ্ন
রাবির ছাত্রকে মারধর, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনায় তিন পুলিশ কন্সটেবলকে প্রত্যাহার করেছে মতিহার থানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। 

ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেখান থেকেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সূত্রপাত। মারধরকারী তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে গতকাল রাতেই। তবে ওই তিন পুলিশ সদস্যদের নাম তিনি প্রকাশ করতে চাননি।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেইটে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হুমায়ূন কবির নাহিদকে মারধর করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

নাহিদ জানান, তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ তাকে থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চান। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে ‘স্টুডেট’ লেখা স্টিকার দেখান। পুলিশ এরপরও কাগজপত্র দেখাতে বললে তিনি গাড়ির কাগজ দেখান। কিন্তু কাগজে নাহিদের নাম ছিল না, ছিল তার বড় ভাইয়ের নাম। পুলিশ সদস্যরা ওই কাগজ দেখে নাহিদকে আটক করার কথা বললে তিনি বাকবিতণ্ডায় জড়ান।

নাহিদ বলেন, ‘বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে পিটিয়েছে। রাস্তায় ফেলে আমাকে মারধর করেছে। রাইফেলের বাট দিয়ে একজন কন্সটেবল আঘাত করেছে। যারা যারা জড়িত তাদের বিচার চাই আমি। ক্যাম্পাসের ভিতরে তারা কোন সাহসে একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করতে পারে।’

মারধরের পর নাহিদকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এদিকে খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে বিনোদপুর গেইটে শিক্ষার্থীদের ভিড় জমে যায়। তারা সেখানে দায়িত্বরত অন্য পুলিশদের ঘেরাও করে রাখে।

নাহিদকে তখন আবার থানা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওই শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বসেছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সকলে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব