সাবধানতা অবলম্বন করে হিট স্ট্রোক ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব: সেমিনারে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১২ অপরাহ্ন
সাবধানতা অবলম্বন করে হিট স্ট্রোক ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব: সেমিনারে বক্তারা

‘অতিরিক্ত গরম এবং পানিশূন্যতা এড়ানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে হিট স্ট্রোক ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক, যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের জন্য ঝুঁকিটা বেশি। তাদেরকেই সবচেয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে’।


স্ট্রোক ঝুঁকি সম্পর্কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে বিশেষ সায়েন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ কথা বলেন।


আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স রুম এই সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।


সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। হিট স্ট্রোক ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সে লক্ষ্যে গরমে খুব প্রয়োজন না হলে রোদে যাওয়া যাবে না। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য ঢিলেঢালা, হালকা, হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে, ঠান্ডা তরল পান করুন এবং ডিহাইড্রেশন হওয়া প্রতিরোধ করতে হবে। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে, ডিহাইড্রেশন যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, লবণ মিশ্রিত পানি খেলে ভালো হয়, বিশেষ করে স্যালাইন খেতে হবে। বিশেষ করে শ্রমিক যারা কাজ করেন তাদের কিছু সময় পরপর ছায়ার মধ্যে আসতে হবে।


শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. জিএম নাজিমুল হক’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ আলোচক ছিলেন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজল কান্তি দাস। বক্তব্য রাখেন, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ আজিজুল হক, শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. উত্তম কুমার সাহা, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ জেট এম ইমরুল কায়েস, ডা. স্বপন কুমার সরকার, ডাঃ অমিতাব সরকার, ডা. এফ আর খান, ডা. সৌরভ সুতার প্রমুখ।


সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরো বলেন, হিট স্ট্রোকের মূল ঝুঁকি মূলত যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন তাদের। দীর্ঘ সময় গরমে থাকায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়। অতিরিক্ত গরমে পেশী বাধা, ভারী ঘাম, চরম দুর্বলতা, বিশৃঙ্খলা, মাথা ব্যাথা, বমি, রেসিং হার্টবিট, গাঢ় রঙের প্রস্রাব ও  চামড়া ফ্যাকাশে হলেই দ্রুত নিকটতম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।