দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেই ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া উচিত- এমনটাই দাবি করে করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।বৃহস্পতিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে এক বক্তব্যে এ দাবি তোলেন।এনডিটিভি জানায়, একটি নির্দিষ্ট (মুসলিম) জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করে নাগরিকদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার সাম্প্রদায়িক একটি প্রচারণার উসকানি দিতে গিরিরাজের এমন বক্তব্য।বিজেপি এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ব্যাপক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতের অর্থনৈতিক ভারসাম্য, সামাজিক সমতা এবং সম্পদের জন্য বড় ধরনের ঝামেলা।”একটি বিশেষ সম্প্রদায় বলতে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে তিনি সতর্ক করেন যে, সব রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জন্ম-নিয়ন্ত্রণ আইন না আনলে ভারত আরেকটি দেশ বিভাগের সম্মুখীন হবে।
গিরিরাজ বলেন, “দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেই ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া উচিত। সব সম্প্রদায়ের জন্যই এটি প্রযোজ্য। কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না, কারণ তাদের ধর্মীয় নীতি সন্তান জন্মনিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেয় না।”মূলত এ বক্তব্য দ্বারা তিনি মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তু করেছেন, এমনটাই মত বিরোধীদলীয় নেতারও।বিহারে এই বিজেপি নেতার বিরোধীদলীয় নেতা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান রাম চন্দ্র পুরবে বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশের জনসংখ্যার সমস্যার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দোষারোপ করে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতেছেন।”এর আগেও দেশটির হিন্দুত্ববাদী নেতারা এমন দাবি তোলেন একাধিকবার। গত বছর আলোচিত হিন্দু ধর্মীয় নেতা রামদেব বলেছিলেন, “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সেই দম্পতির সব রকম সুবিধা কেড়ে নিতে হবে।”শুধু ভোটাধিকার নয়, চাকরি কিংবার চিকিৎসার অধিকারও কেড়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।ভারতে বর্তমান জনসংখ্যা ১৩৭ কোটি যার ৮০ শতাংশই হিন্দু জনগোষ্ঠী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনগোষ্ঠী মুসলিম হচ্ছে মাত্র ১৩ শতাংশ। শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধদের জনসংখ্যা আরও কম তবে একাধিক নতুন গবেষণা বলছে, একক দেশ হিসেবে ভারত ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্মের দুইটি- হিন্দু এবং ইসলামের সর্বাধিক অনুসারীদের আবাসে পরিণত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।