পটুয়াখালীর বাউফলে কবির বয়াতি (৪৫) নামের এক যুবককে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার রাত ৭টায় উপজেলার কনকদিয়া ইউপির কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় থানা পুলিশ ১জনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের স্ত্রী আকলিমা জানান, মাস খানেক আগে প্রতিবেশি কুদ্দুস হাওলাদারের ও খালেক মোল্লা গংদের সাথে একটি রাস্তা নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ছেলে সজিব হাওলাদারকে রাতে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করে খালেক মোল্লা গংরা। বিষয়টি আপোষ নিস্পত্তি ও জমির কাগজপত্র দেখানোর লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যায় কবির বয়াতি বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের কাছে কাগজপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্থানীয় হাওলাদার বাড়ীর সামনে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের উপস্থিতিতে প্রতিবেশি সরোয়ার, খালেক মোল্লা, কুদ্দুস হাওলাদার, মজিবুর মোল্লা, কামাল মোল্লা, রানা হাওলাদার, সজল হাওলাদার, আবু হাওলাদার ও নুরুল চৌকিদার কবির বয়াতিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই সময় ডাক চিৎকার করলেও কেউ চেয়ারম্যানের ভয়ে এগিয়ে আসেনি। পরে খালেক মোল্লার ঘরে ঢুকিয়ে আমার স্বামী কবির বয়াতিকে হাত পায়ে ও মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় এনে ফেলে দিয়ে যায়। পরে আমার স্বামীকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় বাউফল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সাল আহম্মেদ জানান, তার হাতে পায়ে ও মাথায় গুরুতর জখম ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু ঘটে।
হত্যার ঘটনায় বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার সাথে জরিত কুদ্দুস হাওলাদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।