বিদেশে আলু পাঠাতে চায় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
বিদেশে আলু পাঠাতে চায় সরকার

দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি উৎপাদন হচ্ছে আলু। তবে রপ্তানিযোগ্য না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক আলু। এজন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

মিলেছে ৬৮৮ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদনও। এ প্রকল্পের আওতায় ৪২ জেলার প্রায় সাড়ে আট হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ফলে মানসম্মত আলুবীজ উৎপাদন করতে পারবেন কৃষকরা। আলুও হয়ে উঠবে বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানিপণ্য। আলু বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য। বর্তমানে আলু উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আষ্টম। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইতোমধ্যে আলু বিদেশে রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে, রোগ মুক্ত ও উপযোগী জাতের বীজ আলুর অভাব, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের আপ্রতুলতা, অপর্যাপ্ত হিমাগার সুবিধা, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অভাব এবং দেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা দেশের আলু চাষাবাদে প্রধান প্রতিবন্ধকতা।

জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১০৩ দশমিক ১৭ লাখ টনের মতো আলু উৎপাদন হচ্ছে। আর বীজের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৭ লাখ। বর্তমানে সরকারি সংস্থা বিএডিসি চাহিদার মাত্র ৪ শতাংশ আলু বীজ সরবরাহ করে। আর বেসরকারি খাত হতে মাত্র আসে ১ শতাংশ। ফলে অবশিষ্ট ৯৫ শতাংশ বীজই কৃষকরা নিজে উৎপাদন করেন অথবা স্থানীয় উৎস হতে সংগ্রহ করেন। আর এই সিংহভাগ আলুবীজেরই গুণগত মান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

‘মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ’ শির্ষক প্রকল্পটি সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস হয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগের ৪২টি জেলার ১৭৮ টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার ৪০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। যেখানে সরকারি অর্থায়ন থাকবে ৫৯৬ কোটি ২১ লাখ টাকা ও বিএডিসির নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ৯২ কোটি টাকা।