সরকার ক্ষমতায়, ধর্ষণের দায় সরকার কি করে এড়াবে? এড়ানোর সুযোগ নেই। এসব ব্যাপারকে সরকার প্রশ্রয়ও দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। দলীয় পরিচয়ের কেউ থাকলেও তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ধর্ষণের এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি না করে সবাইকে নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এটা শুধু মুখে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় সরকার অপরাধীদের শাস্তি দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ ও সামাজিক ব্যাধি। এসব চরম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা বিকৃত রুচির অপরাধী।তিনি বলেন, সরকার এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে। তবু এ ধরনের ঘটনা দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে। সম্প্রতি পাশের দেশেও এমন ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দিনেই কি বিচার হবে? রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়ে গেলো, ফেনীর নুসরাতের রায় হলো। এগুলোর বিচার তো হচ্ছেই। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ওয়াহিদার ওপর হামলা হয়েছে, সে ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে প্রায় প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছিলো। কিন্তু তাদের কি শাস্তি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে? নাকি তাদের চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে? সব অপরাধীরই শাস্তি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।