মেহেরপুরের গাংনীতে উর্মি খাতুন নীশাত (২৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আশরাফুজ্জামান প্রিন্সের বিরুদ্ধে। জানা যায় হত্যার স্বীকার উর্মি খাতুন নীশাত কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
বৃহম্পতিবার দিবাগত মধ্য রাতে গাংনী শহরের কাথুলী মোড়ে নীশাতের শ্বশুর বাড়িতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। শ্বশুর বাড়ি থেকে নীশাত আত্মহত্যা করেছে এমন দাবি করলেও নিহত নীশাতের পিতা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত স্বামী আশরাফুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহ'কে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
উর্মি খাতুন নীশাতের পিতা গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী প্রিন্সের মাদকসেবন'কে কেন্দ্র করে নীশাতকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করতো প্রিন্স। বৃহস্পতিবার রাতে আশরাফুজ্জামান প্রিন্স উর্মি খাতুন নীশাতকে শ্বাসরাধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। নীশাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে বলে জানান ডাক্তার।
নিহতের পরিবার সূত্র জানা যায়, ৪ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের সংসারে একটি ১৩মাস বয়সী পুত্র সন্তান রয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ইমদাদুল হক জানান, উর্মি খাতুন নীশাত'কে হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং গাংনী থানায় হত্যার স্বীকার নীশাতের বাবার দায়ের করা এজাহার ভুক্ত মামলার প্রেক্ষিতে স্বামী ও শ্বশুর'কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।