বরিশাল নগরীর স্টীমারঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র জমি দখল করে অবৈধ ভাবে স্টল নির্মান করেছেন স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি। স্টীমারঘাটের গ্যাংওয়ের পাশ ঘেষে আটটি স্টল নির্মান করা হয়। কীর্তনখোলা নদীর অংশে নির্মিত এ স্টলগুলো শহর রক্ষা বাঁধ খুড়ে নির্মান করা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন শহর রক্ষা বাঁধ ক্ষতির হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনি এসব অবৈধ দখলদারদের দেখাদেখি পুরো অংশটুকু অর্থ্যাৎ স্টীমার ঘাট থেকে স্প্রীডবোট ঘাট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার শংকা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব স্টল মালিকদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে স্টল নির্মান করে দিয়েছেন। তবে রবিবার সকালে নদী বন্দর কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর সিটি মার্কেট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে স্টীমার ঘাট ঘেষে ছোট-বড় বেশ কিছু স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। এসব স্টল স্টীমার ঘাট থেকে স্প্রীডবোর্ট ঘাট পর্যন্ত প্রায় অর্ধেকস্থান (নদীর পাড়) ইতোমধ্যে দখল করে ফেলা হয়েছে। যেকারণে কীর্তনখোলা নদীর এ অংশটুকু অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে গেছে।
শুধু দখলই নয়; এসব স্টল নির্মানের ফলে শহর রক্ষা বাঁধও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিআইডব্লিউটিএ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় একদিকে যেমন এসব স্টল একে একে গড়ে উঠেছে, তেমনি তাদের দেখাদেখি দিনে দিনে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্টলের মালিক বলেন, সিটি মার্কেটের রাস্তার পাশে আমাদের স্টল ছিলো। কিন্তু সেগুলো উচ্ছেদ করায় স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিজেরাই এসব স্টল নির্মান করেছি। তবে তারা অবৈধ দখলদার তা নিজেরাই স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস বলেন, ওইসব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে অনেক আগে আমি তৎকালীন বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে নদীর তীরে কিছু স্টল নির্মান করা হয়েছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।