নোয়াখালীতে ডেভিল হান্ট অভিযানে আটক ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: রবিবার ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৩ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে ডেভিল হান্ট অভিযানে আটক ৭

অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের প্রথম দিনে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সাবেক চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাতে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় এবং রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে।  


আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আজাদ, হাতিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাদ্দাম হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম বিটু, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন, তমরুদ্দি ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম রাকছান, হাজী আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আবদুল মাজেদ পলাশ এবং আব্দুল জাহের।  


যৌথ বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রথমে চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদকে ওছখালী পুরাতন বাজার থেকে আটক করা হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একটি প্লাস্টিকের হাতলযুক্ত ধারালো ছুরি, একটি কুড়াল, দুটি কাঠের হাতলযুক্ত ছুরি এবং তিনটি লম্বা তলোয়ার।  


হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় হাতিয়ায় এটি ছিল প্রথম অভিযান। আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে।’  


তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাতিয়া অঞ্চলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  


স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে হাতিয়ায় নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এমন অভিযান আরও জোরদার করা উচিত বলে মনে করছেন তারা।  


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা দেশে পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আরও কয়েকটি জেলায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নোয়াখালীর এই অভিযানে সাতজনের আটকের ঘটনা আলোচনায় এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এই অভিযান অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার একটি বড় উদাহরণ।