খাগড়াছড়িতে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মশাল মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১১ই মার্চ ২০২৫ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
খাগড়াছড়িতে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে মশাল মিছিল

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা সদরের চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি ও সর্বস্তরের ছাত্রজনতার আয়োজনে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।  


সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটেই চলেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।  


জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা বলেন, নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হলে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ রোধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় এই অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।  


সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য মাহাবুব আলম, ছাত্র প্রতিনিধি অপূর্ব ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে শুধু আইন থাকলেই হবে না, তার কঠোর প্রয়োগও করতে হবে।  


বক্তারা আরও বলেন, ধর্ষণ রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।  


প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।  


এই মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। তারা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানান।  


সমাবেশ শেষে বক্তারা সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে জনরোষ তৈরি হবে এবং আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।