দেশে সরকারি চাকরি এখন সোনার হরিণের মত। যখনই কোনো চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় তখনই সমাজের টাকাওয়ালাদের দৌরাত্ম শুরু হয়। লাখ লাখ টাকা দিয়ে ঘুষ দিয়ে কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মেধাবীদের বাদ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া যায় এমন ঘটনা এড়াতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরি প্রার্থী এবং অভিভাবকদের সচেতনতা শুরু করেছে।
সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চারটি পদে দশজন প্রার্থী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পদগুলো হচ্ছে সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে তিনজন, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার আপারেটর পদে পাঁচজন, লাইব্রেরি সহকারি পদে একজন এবং হিসাব সহকারি পদে একজন নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হবে।
সেই নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ প্রকাশ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ এবং উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে গতকাল বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিটি জেলার সচেতমহল ও তরুণ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের ফেসবুক শেয়ার করেন। সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায় বিজ্ঞপ্তিটি। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জেলা প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। মূলত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ।
প্রলোভনে পড়ে বা প্রতারণার শিকার নিয়োগ লাভের প্রত্যাশায় কোনো কাজ করা বা আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল চাকরি প্রার্থীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বর্তমানে মেধাবীদের মূল্যায়ন করছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন অসাধু উপায়ে আর্থিক কোনো লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত না হয় এজন্যই আমি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনগণ, চাকরি প্রার্থী এবং অভিভাবকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারি যদি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখায় তাহলে আমার নজরে আসলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যাক্তিকে এক কাপ চা খাওয়ানোর কোন সুযোগ নেই চাকরি প্রার্থীদের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।