কলাপাড়ায় উনুন জ্বলেনি পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার ৩১শে জুলাই ২০২১ ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় উনুন জ্বলেনি পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবারে

টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কয়েক হাজার মানুষ। বৃষ্টি কমলেও পানি কমেনি। তলিয়ে রয়েছে পুকুর ও মাছের ঘের। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মৌসুমী সবজি চাষীরা। পানিতে তলিয়ে থাকায় অনেকের বাড়িতে উনুন জ্বলেনি। 



এদিকে ভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর, মহিপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কালভার্ট আটকিয়ে প্রভাবশালিরা মাছ চাষ করার ফলে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।




উজেলা মৎস্য ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ১৫’শত পুকুর ও মাছের ঘের। এতে প্রায় তিন কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতির আশংকা করেছে মৎস্য বিভাগ। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ২৫’শত হেক্টর আমনের বীচতলা। 



এছাড়া ৩৪ হেক্টর আউশ  ও ৭’শত ৪০ হেক্টর জমিতে চাষকৃত শাক সবজি অর্ধেকটা নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। 

স্থানীয়রা জানান, টানা ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অন্তত দশ হাজার একর জমি দেড় থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। 




এ কারনে আমন ফষল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কৃষকরা। এভাবে আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকলে আমনের রোপন করা বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।




এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেরিবাধের বাইরে নিন্মাঞ্চল তলিয়ে রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে শতশত পরিবার। আর ওইসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। 



কৃষক বলেন, অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বাড়ির পাশে সবজি চাষ করেছি। এবছর গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তার ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে। এর ফলে ক্ষেত পচনের আশংকা করেছেন তিনি।



উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এ উপজেলায় টানা সাত দিনের ভারি বর্ষনে ১৫’শত পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাথমিক তালিকা তৈরী করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কছে পাঠানো হয়েছে।



উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, ক্ষতির তালিকা করে মন্ত্রলালয় পাঠানো হয়েছে। 



উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, করোনায় কর্মহীন ও পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ্যদেও সহায়তার জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে ছয় লাখ টাকা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের কাছে দেয়া হয়েছে। 



এছাড়াও মহিপুর, লালুয়া,চম্পাপুর, ধানখালী, ইউপির পানিবন্ধি মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য সামগ্রি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।