বরিশালে দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিলে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়। সদর ইউএনওর বাসায় হামলা, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষন ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বরিশালে প্রবেশের সকল মুখে বাস আড়াআড়ি করে সড়ক অবরোধ রাখেন শ্রমিক এবং নেতাকর্মীরা। এতে সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে অবরোধ তুলে নেয় তার অনুসারীরা। তারপরও সচল হয়নি সব সড়ক। কেননা অবরোধ চলাকালীন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ জানান, বরিশালবাসীর ভোগান্তি লাঘবে মেয়রের নির্দেশে অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলায় শোক দিবসের ব্যানার অপসারণ করা নিয়ে প্রশাসন ও আ.লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়। এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়া সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরেই মামলা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।