ক্রমশ:ই অধিক ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটটি। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী কিংবা সাধারন মানুষ পারাপার হচ্ছে এই ঘাট থেকে। দীর্ঘদিন যাবত এই ঘাটটির বেহাল দশা। ধসে পড়েছে ঘাটের অর্ধেকটা। তাই প্রশ্ন ওঠে আর কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হলে সংস্কার করা হবে চরকাউয়া খেয়াঘাটটি। দিনের বেলায়ই যেখানে পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ, সেখানে রাতের বেলায় যে আরও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেটা নি:সন্দেহেই বলা যায়।
এসব সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছে যাত্রী সাধারণ। ধসে পরা ঘাটের রডগুলো বেড়িয়ে আছে বিপদজনকভাবে। এই রডের ফাঁকে পা পড়লে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়াও রাতের বেলায় ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। একাধিক ট্রলার চালক জানান, পারাপার হওয়ার সময় প্রায়ই ক্ষুব্ধ হন যাত্রীরা। ট্রলারে উঠতে-নামতে যারা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন তাদের অধিকাশংই বয়োবৃদ্ধ, নারী কিংবা শিশু।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে বরগুনা ও বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো রাত ২টা থেকেই বরিশাল নৌ-বন্দরে আসে। বরিশালের পূর্বাঞ্চলের তথা ভোলা, লাহারহাট, নেহালগঞ্জসহ চরকাউয়া ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াত এই খেয়াঘাট থেকেই। শীতকালীন নাব্যতা সংকটে পানি কম থাকায় ঘাটের খেয়াগুলো ভিড়তে হচ্ছে নীচের দিকে। একারণে ট্রলারে উঠা-নামা খুবই কষ্টসাধ্য। ঢাকা থেকে আসা সাব্বির নামের এক যাত্রী জানান, “আমার বাড়ি টুঙ্গিবাড়িয়া। এই ঘাটে প্রায়শই ভোগান্তিতে পরি, কখন যে পা ফঁসকে রডের মধ্যে পড়ে যাই বলতে পারিনা, এটা নতুন করে নির্মাণ করা উচিৎ। ভোলার উদ্দেশ্যে খেয়া পারাপার হওয়া এক নারী বলেন, আমার সাথে একটি বাচ্চা আছে, আমি মহিলা মানুষ, ট্রলারে ওঠার সময় কোনরকম যদি এই ফাঁকে পা পড়ে তাহলে কি অবস্থা হবে বুঝেন?
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এটাতো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তারপরেও আমরা দেখি কি করা যায়। কথা হয় বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আহসান হাবিবের সাথে, তিনি জানান, এটা আমরা ইজারা দেইনা। তারপরেও যেহেতু ব্যাপরটা জনদুর্ভোগের সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে দেখি কিছু করতে পারি কি না। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো: ফারুক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। মাসিক সমন্বয় সভা আছে, সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।