দেবীদ্বারে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং; মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: বুধবার ১০ই মে ২০২৩ ০৯:২৪ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং; মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

কুমিল্লার দেবীদ্বারে গত এক সপ্তাহে তীব্র তাপদাহের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত  হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান এসএসসি পরিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে পড়েছে প্রভাব। তীব্র গরমে গত একসপ্তাহ যাবৎ ১ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।ফ


বুধবার ১০মে দেবীদ্বারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এমন তীব্র তাপদাহের মধ্যে কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই দেয়া হচ্ছে লোডশেডিং ফলে উপজেলার প্রায় সব এলাকায় দিনে কমপক্ষে ১৩-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে।


বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তিন কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। তীব্র গরমে এসির লোড মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। জ্বালানির অভাবে ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষণে বিদ্যুতের উৎপাদন কমেছে। বিদ্যুতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট। এদিকে চাহিদার তুলনায় দেবীদ্বারে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এমন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।


ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে ২০২৩ বর্ষের চলমান এসএসসি পরিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, মোমবাতি জ্বালিয়েই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তার সাথে সাথে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে মানুষ যখন হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক তখনই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩-১৪ ঘণ্টা কোথাও কোথাও তারও অধিক লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ পরিবারের বিভিন্ন কার্যক্রম।


উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নানান শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রমজান মাসেও অন্যান্য উপজেলার থেকে দেবীদ্বারে বেশি লোডশেডিং হয়েছে। এখন যেন লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ লোডশেডিংয়ের রোস্টার না করেই তাদের ইচ্ছে মতো রাত নেই দিন নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দিয়ে যায়, প্রতিদিন এমন লোডশেডিং জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে।


এবিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-১ দেবীদ্বার জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী দ্বীপক সিংহ বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় জানান, শুধু দেবীদ্বারেই নয়, বিদ্যুৎ সংকটে সারাদেশেই লোডশেডিং হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, জেনারেশন কম থাকায় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকে চাহিদা পূরনে দেবীদ্বারে ২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেখানে সারাদিনে আমরা পেয়েছি ৫ মেগাওয়াট যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তাই আমাদের বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।