বুধহাটায় বকুলতলা এলাকার রাস্তা দুটির করুন অবস্থা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৬শে মে ২০২৩ ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
বুধহাটায় বকুলতলা এলাকার রাস্তা দুটির করুন অবস্থা!

সামান্য বৃষ্টি হলেই বুধহাটার দুটি রাস্তা  হয়ে যায় চলাচলের অনুপযোগী। কোথাও  দেখে বোঝার উপায় নেই সেগুলো পাকা না কাচা রাস্তা। আবার গর্তের কারণে কোথাও পানি জমে আছে। সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে  চলাচলের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতির। বৃষ্টির পানিতে মাটি ভিজে সড়ক হয়েছে কাদায় একাকার। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বুধহাটা মন্দির,বুধহাটা ভুমি অফিস, বুধহাটাশ্মাশনঘাট, বুধহাটা বাজারে আসা লোকজনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ কতৃপক্ষের সদিচ্ছা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায়  সড়কগুলোর এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।


 হঠাৎ করে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানিতে বুধহাটা বকুলতলার মোড় থেকে,বুধহাটা কাচাবাজার থেকে মহানন্দদের বাড়ীর মুখ পর্যন্ত বর্ষামৌসুম শুরুর আগে এ রাস্তা দুটি চলাচলের অনপোযোগি হয়ে পড়েছে। মানুষ সকল সময় আতঙ্ক গ্রস্থ তাকে কখন যেন গাড়ির চাকা পড়ে কাঁদা পানি গায়ে পড়বে এই ভয়ে। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ  সড়ক এখন কাঁদা সড়কে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন মোটরসাইকেল ভ্যান চালকেরা।


 ঝুঁকি নিয়ে তারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া বুধহাটা বাজার সহ আশপাশ সড়কের কিছু কিছু জায়গায় ট্রাক্টরের বহন করা মাটি পড়ে বৃষ্টির পানিতে পাকা রাস্তাগুলো কাদাময় হয়ে পড়ে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ে দুর্ভোগ। 


পানি বহনকারী ভ্যান চালক নাছিম বলেন,  বৃষ্টির পর  এ রাস্তায়  সতর্কতার সাথে ভ্যান চালাতে হয়। ভ্যানের চাকা পানিতে পড়ে পানি ছিটকে গিয়ে পথচারীদের গায়ে পড়ে কিনা এই ভয়ে। কারণ গর্তে পানি জমে থাকলে বুজতে পারা যায় না। তাই সাবধানে চালাতে হয়। রাস্তার পাশে পোল্ট্রি ফিডের ােকান প্রসেনজিৎ ঘোষের।  তিনি জানালেন, এই রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে পাকা করা দরদার।রাস্তার কারনে ক্রেতা আসতে চায় না।


মটরসাইকেল আরোহী প্রান্ত বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলো পিচ্ছিল থাকে। এতে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। তাই সতর্কতার সহিত গাড়ি চালাতে হয়। এছাড়া পায়ে হেটে পথচারীদেরও সাবধানে চলাচল করতে দেখা যায় কাঁদা পানি লাগার ভয়ে।ব্যবসায়ী ও বুধহাাটা দ্বাদশ শিব কালি মন্দিরের সাধারন সম্পাদক অজয় পাইন বলেন, বৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষের পায়ে হেটে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে কাঁচা বাজার ও বকুল তলা মোড়ের রাস্তা। স্যান্ডেল হাতে নিয়ে প্যান্ট এবং লুঙ্গি হাঁটু পর্যন্ত উঠিয়ে যেতে হয়। 


তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোর যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাই পথচারীদের দূর্ভোগ থেকে উত্তরণের জন্য এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।


বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহাবুবুল হক ডাবলু বলেন,এ রাস্তা দুটির ব্যাপারে আমি দ্রুত তম সময়ের মধ্যে সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।