বরিশালে মারাত্মক বিদ্যুত বিপর্যয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
বরিশালে মারাত্মক বিদ্যুত বিপর্যয়!

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বিদ্যুতহীন ছিল বরিশালের ৬ জেলার বাসিন্দারা। বেলা ১১ টার পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুত আসতে শুরু করে। তবে বরিশাল ও ঝালকাঠিতে দুপুর দেড়টার দিকে বিদ্যুত আসলেও ৩০ মিনিট পর আবার চলে যায়। বিকাল সাড়ে ৫টার পর পুরোপুরি বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এদিকে বিদ্যুত বিভ্রাট ও ভাদ্রের দুঃসহ গরমে এ ভোগান্তিতে কোটিয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। জাতীয় গ্রিডে গোলেযোগের কারণে ব্লাক আউটের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি লি. বাংলাদেশের (পিজিসিবি) বরিশাল অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান পলাশ। 


পটুয়াখালীর বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, ভোর ৫টার দিকে বিদ্যুত চলে যায়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবার আসে। ঝালকাঠির বাসিন্দা মিজান জানান, ঘুম থেকে উঠে বিদ্যুত পাইনি। মাঝে দুপুরে একবার কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুত আসলেও আবার গিয়ে বিকাল ৫টার দিকে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বরিশাল নগরীতে সকাল ৯টায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে আবার দেড়টার দিকে আসে। তবে মাত্র ৩০ মিনিট পর আবারও বিদ্যুত চলে যায়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয় নগরীতে। এদিকে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়ে বিদ্যুত নির্ভর সব প্রতিষ্ঠান।


অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অস্ত্রপচারসহ জরুরি সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বিকল্প ব্যবস্থায় জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালের সকল অস্ত্রপচার কক্ষ চালু রাখা ছিল। কোনো অস্ত্রপচার বাতিল করা হয়নি। একই কথা জানিয়ে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, করোনার টিকা সংরক্ষণ ব্যবস্থা জেনারেটরের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছে।


পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি লি. বাংলাদেশের (পিজিসিবি) বরিশাল অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান পলাশ, প্রথম পর্যায়ে কম পাওয়ায়, সকল স্থানে বিদ্যুত সরবরাহ করা যায়নি। এজন্য লোডশেডিং দিতে হয়েছে।


ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ টি এম তারিকুল ইসলাম জানান, আন্ডার ফিকোয়েন্সির কারণে ন্যাশনাল গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। যদিও ২ ঘণ্টা পর বিদ্যুত সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।