‘স্যার’ সম্বোধন করে অনুমতি নিয়ে সাংবাদিককে হসপিটালে ঢুকতে বললেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২১শে এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪২ অপরাহ্ন
‘স্যার’ সম্বোধন করে অনুমতি নিয়ে সাংবাদিককে হসপিটালে ঢুকতে বললেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় হাসপাতালে রোগীর চাপ। চিকিৎসকদের কষ্ট নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের বক্তব্য নিতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ল সময় সংবাদ। ক্যামেরা দেখেই ক্ষেপে গেলেন নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. একরামুল হাসান। এসময় ডাক্তারের হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক আচরণ সম্পর্কে ধৈর্যের সঙ্গে জানতে চাইলে উঠে আসে গত ৫ নভেম্বর প্রকাশ হওয়া এক সংবাদের রেশ।


‘হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কালক্ষেপণে ন্যায়বিচার বঞ্চিত অনেকে’ শিরোনামে সময় টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এরকম আচরণ করেন তিনি। এ নিউজ কেন চিকিৎসকের পক্ষে যায়নি, সে বিষয়েও এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান। এছাড়া তাকে ‘স্যার’ সম্বোধন করে হাসপাতালে আছেন কিনা আগে জেনে ও পরে অনুমতি নিয়ে তার কক্ষে ঢোকার নির্দেশ দেন তিনি। 


সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। 


রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও প্রসূতিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে গরমের এ তীব্রতা। স্থান নেই ডায়রিয়া, নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডেও। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন বাসা বাড়িতে। তারপরও রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে নার্সসহ চিকিৎসকদের।


হাসপাতালে কতজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন কোনো সমস্যা আছে কিনা এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বসে থাকলেও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোহাম্মদ একরামুল হাসানের দেখা পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে ১১ টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করনেনি। এরপর ১১ টা ৩৭ মিনিটে অফিস সহায়ক সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি জানান, স্যার বাসায় গেছেন। এমন সময়ে কেন বাসায়, এ প্রশ্নের জবাবে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। 


অন্যদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি সমন্বয় সভায় রয়েছেন বলে জানান।


পরবর্তীতে বেলা সোয়া ১২ টার পরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার একরামুল হাসান অফিসে ঢুকলেও তিনি কোনো কিছু জানাবেন না বলে সংবাদকর্মীর দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন ‘অফিসে পারমিশন ছাড়া কেন ঢুকেছেন। প্রয়োজনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ের পারমিশন নিয়ে আসবেন।’ এ সময় খারাপ অঙ্গভঙ্গিতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তোল’। সেইসঙ্গে তার পিওনকেও সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বলেন।


‘সাত বছর ধরে আছেন প্রমোশন নেই’ উল্লেখ করে বারবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের ঢোকা এবং ফটো তোলার কারণকেই দায়ী করেন তিনি।