গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে দাম লিখে দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ২০শে জানুয়ারী ২০২০ ০৭:৩২ অপরাহ্ন
গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে দাম লিখে দেওয়ার নির্দেশ

এলপি গ্যাসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) নির্ধারণ করে আগামী ১ মার্চের মধ্যে সিলিন্ডারের গায়ে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে জ্বালানি সচিব ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত তালুকদার।   

শুনানিকালে মনিরুজ্জামান লিংকন আদালতে বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে যখন-তখন এর দাম বাড়াচ্ছে বেসরকারি এলপি গ্যাস সরবরাহকারী স্থানীয় কোম্পানিগুলো। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার আগেই হয়তো স্থানীয় কোম্পানিগুলো এসব গ্যাস আমদানি করেছিল। আর তখন সুযোগ পেয়ে অতিরিক্ত মুনাফা পেতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে গ্রাহককে।

এই আইনজীবী আরো বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকলে ভোক্তাকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না। আর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরাও যখন-তখন অযথা দাম বাড়িয়ে অসৎ উপায়ে লাভবান হতে পারবে না।

আইনজীবী আরো বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের দায়িত্ব হলো গ্যাসের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা। কিন্তু তারা কোনো দায়িত্ব পালন করছেন না। গ্যাসের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে সিলিন্ডারের গায়ে লিখে না দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো মূল্য আদায় করছে। সাধারণ মানুষ অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। এজন্য এলপি  গ্যাসের গায়ের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে।

শুনানি শেষে আদালত এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ১ মার্চের মধ্যে সিলিন্ডারের গায়ে লিখে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে সিলিন্ডারের গায়ে দাম উল্লেখ করারও নির্দেশনা চাওয়া হয়। আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন এ রিট দায়ের করেন। রিটে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিট দায়েরের আগে গত ৬ জানুয়ারি গৃহস্থালিসহ হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিখে দিতে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশে এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে কেন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। জ্বালানি সচিব ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে নোটিশে বিবাদী করা হয়।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব