পরকীয়া করলে বিবাহিত জীবন হবে সুখের! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় বেরিয়েছে এমনই তথ্য। প্রায় হাজার দম্পতির মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে অবাক করা তথ্য সামনে এনেছেন গবেষকরা।
কী তথ্য এসেছে গবেষণায়?
সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, যে সকল দম্পতিরা পরকীয়ায় লিপ্ত, তাঁদের মধ্যে প্রেম অনেকটাই বেশি। অনেকে তো মনে করেন, স্ত্রী বা স্বামীর প্রতি আরও বেশি প্রেম বাড়ে, যদি অন্য কোনও মহিলা বা পুরুষ জীবনে আসে। গবেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ মানুষই জীবনে নতুন স্বাদ পেতে চান। বিয়ের অনেক দিন হয়ে গেলে বোরডম চলে আসে। আর ঠিক সেখানেই এন্ট্রি নেয় পরকীয়া।
গবেষকদের কথায়, সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারই নাকি চট করে পরকীয়ায় সামিল হন। আর এর ফলে স্বামীর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। অন্যদিকে, পুরুষরা নাকি পরকীয়া করলে স্ত্রীয়ের প্রতি আরও দায়িত্ববান হয়ে ওঠেন। সুতরাং পরকীয়া মানেই যে বাজে জিনিস তা কিন্তু একেবারেই নয়।
তবে এই সমীক্ষায় কয়েকটা সাবধানবাণীও শুনিয়েছেন গবেষকরা।
১) পরকীয়ায় ধরা পড়লে কিন্তু জীবন একেবারে নাজেহাল হয়ে যাবে। তাই এরকম সম্পর্কে জড়ানোর আগে ১০০ বার ভাবুন। এতে সুখের দাম্পত্য জীবনে উঠতে পারে ঝড়।
২) যদি সঙ্গীর কাছে ধরা পড়ে যান। তৎক্ষনাৎ ব্যাপারটা নিয়ে ঝগড়া না করে আলোচনা করুন। প্রয়োজনে ক্ষমা চান। স্ত্রী বা স্বামীর থেকে বেশি গুরুত্ব প্রেমিকা বা প্রেমিককে কখনই দেবেন না।
৩) হঠাৎ যদি জানতে পারেন আপনার স্ত্রী বা স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। তাহলে সবার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে, বরং নিজেরা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন। এতে সুফল হবে।
৪) লুকিয়ে ফোন চেক করবেন না। যদি সন্দেহ হয়, সেই সন্দেহর কথা স্পষ্ট জানান সঙ্গীকে।
৫) পরকীয়াকে কখনই দাম্পত্যর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।