প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৮
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি জানান, দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এই পরিস্থিতিতে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করা জরুরি।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে তিনি এই বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
সেনাপ্রধান বলেন, দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে। সেনারা দেশের ভবিষ্যৎ, তাই প্রত্যেককে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। বাহিনীর শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখার ওপরও তিনি জোর দেন।
সামরিক বাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে জেনারেল জামান বলেন, এসব নিয়ে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। অনেক মন্তব্যই তরুণদের কাছ থেকে আসছে, যারা এখনো অভিজ্ঞ নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সময়ের সঙ্গে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন এবং মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই প্রতিশোধমূলক কাজে জড়ানো যাবে না।
নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জানান, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে, একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাষ্ট্র একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই কেউ অপরাধে জড়ানোর আগেই তা প্রতিরোধ করা জরুরি। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর শুধুমাত্র বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের সম্পদের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।
সেনাপ্রধানের ভাষণে স্পষ্ট হয়, নির্বাচনী পরিবেশে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণ ও সরকারের পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ।