প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:১৩
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক, যিনি নুরাল পাগলা নামেও পরিচিত, তার কবর অবমাননা এবং মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজ আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজের মৌলিক ভিত্তিতে সরাসরি আঘাত। সমাজে সহ্যযোগ্য এই ধরনের বর্বরতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আমাদের সভ্যতা, নৈতিকতা এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি আস্থা ক্ষুণ্ন করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি মানুষের জীবনের পবিত্রতা, তাদের জীবনকালে এবং মৃত্যুর পরেও রক্ষা করা সরকারের কর্তব্য।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গোয়ালন্দে ঘটে যাওয়া কবর অবমাননা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য দায়ীদের শনাক্ত করা হবে এবং আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা সমাজে অস্থিরতা ও অসন্তোষ সৃষ্টি করে, যা মোটেও কাম্য নয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ন্যায় ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সরকার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে, সহনশীলতা প্রদর্শন করতে এবং সামাজিক সংহতি রক্ষায় সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই এই ধরনের অমানবিক কার্যকলাপ পুনরায় ঘটতে দেওয়া হবে না। সরকারের দৃষ্টি এই ধরনের অপরাধের শিকড় উড়িয়ে দেওয়া এবং সমাজে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার দিকে কেন্দ্রীভূত।
রাজবাড়ীর এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সমাজে নৈতিকতা, আইন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আবারও浮ে এসেছে। সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিটি নাগরিককে আইন ও নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই ধরনের বর্বরতা রোধে এবং সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমাজে আইনশৃঙ্খলা, ন্যায় এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করা সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হবে।