প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩২
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটি বড় টেস্ট ছিল ডাকসু নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে উত্তরণ করেছেন এবং কোনো আইনশৃঙ্খলাজনিত ঘটনা ঘটেনি। এটি প্রমাণ করে দেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে যা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।
শফিকুল আলম জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার প্রায় প্রতিদিন বৈঠক করছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন এবং প্রার্থীদের সদিচ্ছাও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যদি জনগণ বানের জলের তোড়ের মতো ভোট দিতে যায়, তাহলে কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার উচিত নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার পাশাপাশি জনগণকে ভোট দিতে উৎসাহিত করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছে সরকার কিছু করেনি। তারা ইমোশনাল হয়ে এসব বলছেন। সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে হলে সব পরিসংখ্যান ও তথ্য বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে অনেক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশে তা হয়নি। এটিই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এটি প্রমাণ করে দেশের প্রশাসন স্থিতিশীল এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
ইউটিউবের মিথ্যা তথ্যের প্রসঙ্গ টেনে শফিকুল আলম বলেন, এখনকার প্রজন্ম সংবাদমাধ্যম থেকে নয় বরং ইউটিউব থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। সেখানে অনেকেই নিয়মিত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
তিনি বলেন, কোনো দেশের সরকার এ ধরনের তথ্য সহ্য করে না। কিন্তু বাংলাদেশে যখন এ নিয়ে কথা বলা হয় তখন বলা হয় সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়। বাস্তবে সরকার মুক্ত সংবাদ প্রচারে বিশ্বাসী হলেও মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।