আওয়ামী লীগ 'অনুপ্রবেশকারী জুয়াড়িদের দায় নেবে না'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা অক্টোবর ২০১৯ ১১:২৪ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগ 'অনুপ্রবেশকারী জুয়াড়িদের দায় নেবে না'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ক্লাবগুলোতে জুয়া খেলা, হাউজি খেলা অনেক আগ থেকেই চালু ছিল, এটা ক্লাবের সঙ্গে সম্পকৃত। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু এর সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগের কেউ জড়িত হয় তার জন্য সে অপরাধী, দল অপরাধী হতে পারে না। মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, মোহামেডান ক্লাবের লোকমান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার একজন বিশ্বস্থ অনুচর ক্যাসিনো থেকে ৪১ কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছে। খালেদ ভূইয়া ফ্রিডম পার্টি করেছে, যুবদল করেছে, সুযোগ বুঝে কখন নাম লিখিয়ে সে এখন যুবলীগ সেজে গেছে। মির্জা আব্বাসের ক্যাডার টেন্ডারবাজ জিকে শামীম এখন সে যুবলীগ নেতা সেজে আওয়ামী লীগের গায়ে কালিমা লেপন করছে।

তিনি বলেন, এই অনুপ্রবেশকারীরা কেবল ঢাকার ক্যাসিনোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তারা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত চলে এসেছে। ব্যক্তিগত দল ভারি করার জন্য আওয়ামী লীগের এই সমস্ত কলঙ্কের বোঝা টানতে পারে না। আমরা এদের ব্যাপারে বসে নেই। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে এই ১০ বছরের মধ্যে অন্য দল থেকে কারা কারা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী, জুয়াড়ি আর অপরাধীদের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ নিতে পারে না। তাদের অপকর্মের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জন ম্লান হতে দেওয়া যেতে পারে না। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের দল থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা হবে।

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেকোন ধরনের অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সেই অন্যায় দলের ভিতরে হোক কিংবা বাইরে। যুবলীগ, আওয়ামী লীগ অথবা ছাত্রলীগ যেই অন্যায় ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত হোক না কেন সে সমাজে চোখে অপরাধী। অপরাধীর কোন দল নেই। যে সন্ত্রাসী সে সমাজের চোখে সন্ত্রাসী।  দেশব্যাপী এ ধরনের অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় দল নেবে না। দলের দোহাই দিয়ে কোন দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, জয়া সেনগুপ্তা এমপি, শামিমা শাহরিয়ার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট প্রমুখ।