২০০ বাংলাদেশি কর্মীকে ফেরত পাঠানোর পর, আরও ১৭৩ জন বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠালেন সৌদি আরব সরকার। সৌদি আরিব সরকারের ধরপাকড়ের অভিযানে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে সৌদে এয়ারলাইন্সে এসভি ৮০৪ বিমান টি তে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এই নিয়ে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সারে ১১ টা থেকে শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৭৩ জন কর্মী বাংলাদেশে ফিরেছেন। বৈধ কাগজপত্র এবং আকামার মেয়াদ না থাকার কারনে সৌদি থেকে প্রতিদিনেই এভাবে ফিরে আসতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। দেশে ফেরা প্রবাসী কর্মীদের বরাবরের মতো ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রধান করা হয়।
গত শুক্রবার একই অভিযানের মাধ্যমে সৌদি থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল কমপক্ষে আরও ২০০ বাংলাদেশিকে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ড সূত্র জানায়,চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসেছেন প্রায় ১৮ হাজার কর্মী। এর আগে ২০১৭ সালে ফিরেছেন ১৬ হাজার ও ২০১৮ সালে ফিরেছেন ২৪ হাজার কর্মী।
গত ১০ বছরে সৌদি আরব থেকে শূূন্য হাতে দেশে ফিরে এসেছেন ২ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, অবৈধ শ্রমিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে সৌদি পুলিশ। গত আড়াই বছরে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লাখ কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, কাজ নিয়ে সৌদি আশা কর্মীদের মালিক (কফিল) বা কাজ পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই। যে কাজ নিয়ে তাঁরা সৌদি আসেন, তার বাহিরে কিছু করার আইনত অধিকার নেই তাঁদের। তাই বৈধভাবে আসার পরও অনেকেই কাজ পরিবর্তন করার ফলে অবৈধ হয়ে পড়েন। অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষনা সংস্থা রামরুর পরিচালক সি আর আবরার বলেন,যে কাজের কথা বলে নেওয়া হয় সেই কাজ দেওয়া হয়না। তাই বাধ্য হয়ে অন্যকোনো কাজের দিকে দিকে যান কর্মীরা। কেন বৈধভাবে গিয়ে অবৈধ হয়ে পরছে সে বিষয়টি ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত সরকারের।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।