মাটি কেটে বিক্রি, নদীতে বিলীনের শংকায় কয়েক’শ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৯শে অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৩ অপরাহ্ন
মাটি কেটে বিক্রি, নদীতে বিলীনের শংকায় কয়েক’শ পরিবার

নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি খনন করে বিক্রি করছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন কলাপাড়া উপজেলার খাপড়াভাঙ্গা নদী তীর সংলগ্ন বসবাসকারী কয়েক’শ পরিবার। 

স্থানীয়রা জানায়, কলাপাড়ার খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীরে দক্ষিনা লের বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর। প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার এই নদী দিয়ে সাগরে আসা যাওয়া করে। একই সাথে নদীর পাড়ের বেড়িবাধঁটি এ অ লের মানুষদের ঝড় ঝঞ্জাট থেকে রক্ষার জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। কিন্তু সেই নদীটি স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী মহল যে যার মত করে মাটি কাটা শুরু করেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খাপড়াভাঙ্গা নদীর মাইটভাঙ্গা সংলগ্ন এলাকার নদীর তীর খনন করে মাটি কেটে নিয়ে  ফেলা হচ্ছে কুয়াকাটা বেড়িবাঁধের উপরে। স্থানীয়দের অভিযোগ মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি প্রভাবশালী জামাল হোসেন এসব মাটি কাটছেন। গত কয়েকদিন ধরে এভাবে মাটি কাটায় স্থানীয়রা বাঁধা দিতেও সাহস পায়নি। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এর কিছুদুরেই একই নদীর আরেক অংশের তীর খনন করে ইটভাটায় মাটি ভরাট করছেন আরেক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ইউসুফ ফরাজি। ভেকু (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে নদীর তীর কেটে ইটভাটার মধ্যে ফেলা হচ্ছে নির্বিঘ্নে। নদীর তীরে মাটি কেটে বড় কুয়ার মত করা হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে সেখানকার বনবিভাগের বেশ কিছু গাছও। 

লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, মাটি কাটার খবর পেয়ে আমি তাদেরকে নিষেধ করিছি কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহিপুর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নদীর তীর থেকে মাটি কেটে কুয়াকাটা বেড়িবাধে নেয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, নদীর পাড় অবৈধভাবে খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ইনিউজ৭১/জিয়া