শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সমাজের এক শ্রেণির মুনাফাখোর পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। পেঁয়াজের বেলায়ও এ সিন্ডিকেটটি এমনটা করেছে। তাই তাদের শিক্ষা দিতে আপনারা যারা পেঁয়াজ কিনছেন, দাম না কমলে পেঁয়াজ কেনা বাদ দেবেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে (বালিকা) দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনুদানের চেক এবং দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ তিনি এসব কথা বলেন। পেঁয়াজের দাম না কমলে মসলাটির ব্যবহার বর্জন করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা পেঁয়াজ কিনছেন, দাম না কমলে তারা বর্জন করবেন। সরকার পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৪৫ টাকা দরে। এই পেঁয়াজ কিনতে বিশাল লাইন দেখলাম। সরকার যে পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে, তা কিনে আবার দোকানদারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে লবণের সংকট। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি বলেছি, ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ এখনও আমাদের কাছে মজুদ রয়েছে। কাজেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করা হচ্ছে। চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। কৃষকরা দাম পায় না। বলা হচ্ছে চালের দাম বাড়তি। একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর কোনো কিছু ভয় করে না। এদের আমরা মানুষ বলতে পারি না। এরা মানুষরূপী কসাই।
অনুষ্ঠানে তিন হাজার টাকা করে ১০০ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বৃত্তিপ্রদান ও ৩০ জন মহিলাকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন, সমাজসেবক তৌহিদুল ইসলাম, এ কে এম দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।