এত ভয়াবহ বার্ন কখনও দেখিনি: ডা. সামন্ত লাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫৮ অপরাহ্ন
এত ভয়াবহ বার্ন কখনও দেখিনি: ডা. সামন্ত লাল

দেশে অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার ঘটনা অত্যন্ত বেদনার। এ যাবতকালের দগ্ধ হওয়ার ঘটনাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বা বেশি মাত্রায় পোড়া রোগী এসেছে এ ঘটনায়। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ৮ জন ভর্তি রয়েছে, তারা সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পোড়া। আর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। প্রত্যেকেই লাইফসাপোর্টে। সবার ইনহ্যালেশন বার্ন এবং এর পরিমাণ এমন যে আমার এই ৪০ বছরের অভিজ্ঞতায় এত ভয়াবহ বার্ন কখনও দেখিনি। যেমন গতকালকে এখানে একজন রোগী মারা গেছে যাকে তার স্ত্রী চিনতে পারেনি। মুখমণ্ডল এমনভাবে বিকৃত হয়েছিল। পরে তার হাতের কাটা দেখে তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে।

ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, এদের মধ্যে একজন আব্দুর রাজ্জাক যার শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে। সে অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে যেকোনও সময় তার অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। বিশ্বের কোথাও শতভাগ বার্ন বাঁচানো সাধারণত সম্ভব হয় না। আমরা চেষ্টা করছি বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। বাকি যারা রয়েছে তাদেরও শরীরের ৬০ থেকে ৮০ ভাগ পোড়া রয়েছে। প্রত্যেকেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে এবং মুখমণ্ডল ও শ্বাসনালী এমনভাবে পুড়েছে যে সেটা রিকভার করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।

তিনি বলেন, আমারা রোগীর স্বজনদের কেউ সবসময় সবকিছু জানাচ্ছি, চিকিৎসাও সঠিকভাবে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে চিকিৎসা যেন সঠিকভাবে হয় এবং ব্যয় ভার যেন সরকার বহন করে, সেভাবেই সব চলছে। আর আমরা এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ পোড়া রোগী বাঁচাতে পেরেছি। উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় বুধবারের (১১ ডিসেম্বর) অগ্নিকাণ্ডে এখন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর